Social Items

 

প্রিয়______
আমার হৃদয় হৃৎপিণ্ডের চাইতেও অনেক গভীরে, রক্ত আর শিরা উপশিরারও অনেক গহীনে যে অস্পৃশ্য অবিনশ্বর রুহ আছে, সেই রুহবিন্দু থেকে তোমাকে ভালোবাসি। তোমার রুপ অবয়ব বা বয়স নয়, তোমার আত্মাটাকে ভালোবাসি।

কারন ভালোবাসা নয় রূপ যৌবনের লোভ। ভালোবাসা মানে নিজের অপর সত্ত্বাকে তোমার মাঝে খুজে পাওয়া। যাকে ছাড়া আমি অপূর্ণ।

আমার হৃৎপিণ্ডের একটু উপরে, অল্প ডানপাশে, আমি নতুন হৃত্স্পন্দন টের পাই। তোমার জন্য এই হৃত্স্পন্দনের জন্ম। তুমিই আমার সেই হৃদয়ের টুকরো, যা দিয়ে তোমাকে তৈরি করা হয়েছে, আর যাকে খুজে না পাওয়া পর্যন্ত আমি অপূর্ণ।

তোমার কাছে কিছু চাওয়ার সাহস নেই আমার। আমি বরং তোমার কাছে নিজেকে দিয়ে দিলাম। আমার স্থাবর অস্থাবর সম্পদ সম্পত্তি দেহের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সবকিছুর উপর কর্তৃত্ব থাকলো শুধু তোমার। তুমি আমার প্রসারিত বাহুডোরে না আসো, যদি আমাতে তুমি নিজেকে দিতে না চাও, তবু আমার সব কিছু তোমার। আমার সবকিছু চলবে শুধু তোমার কথামতো।

আমি জানিনা মানুষ কেন বলে প্রেমে অনেক কষ্ট। পাওয়া না পাওয়ার বেদনা। তারা হয়তো জানেনা ভালোবাসা কি। তাদের হয়তো সে ধৈর্য ছিলোনা সত্যিকারের ভালোবাসার মানুষটিকে খুঁজে পাবার। নিজের জোর করে তৈরি করা ভালোবাসায় আবদ্ধ তারা। তা না হলে তারা জানতো, সত্যিকারের ভালোবাসায় চাওয়ার কিছু থাকেনা। প্রশ্ন থাকেনা, হৃদস্পন্ধন থেমে যায়না, বুক মোচড় দেয় না। কষ্ট হয়না। তাড়নার জঞ্জাল ভ্রু কুচকে ঝামেলা থেকে মুক্তি চায়না। ভালোবাসা মানে নিজের কাছে হার মানা নয়। নয় স্রেফ পছন্দ হয়েছে একজনকে তাই তাকে বশে আনা।

ভালোবাসা মানে একা থাকা। ভালোবাসা মানে অপেক্ষা করা। একদিন আয়নার মতো কাউকে খুঁজে পাওয়া। যাকে পেলে এমনিতেই মনের সব প্রশ্নের উত্তর মিলে যায়। প্রথম স্বপ্নের কথা মনে পড়ে। এক ঝলক স্বপ্ন। মনের মাঝে বয়ে চলা সব ভার এক পলকে আকাশে উড়ে যায়। নিজের মন সত্ত্বার প্রতিরূপ খুঁজে পেয়ে বিকশিত হয় হাসি। এই তো সে, যাকে পেতে নয়, নিজেকে দিয়ে দিতে এত বছর ধরে একা হাঁটছি।

আমি অপেক্ষা করছি তোমার জন্য। যদি তুমি আমায় ভালোবাসো, আমিও তোমায় সারা আকাশ ভেঙ্গে ভালোবাসা দেবো । আমি তোমায় ভালোবাসবো চোখে চোখ রেখে। ভালোবাসবো তোমায় আঙুলের স্পর্শে। সব দুর্নিবার দূরত্বের কষ্ট আমি উড়িয়ে দিবো বুকে চেপে ধরে। তোমার অস্থিরতা আমি শান্ত করবো। তোমার সব অতৃপ্ততা আমি ভালোবাসার আগুনে পুড়িয়ে দিবো। তোমার অভিমানে জল আমি ঠোঁটে ছুয়ে মুছে দিবো । তোমায় ভালোবাসবো আমি সঙ্গীতের মূর্ছনায়। আমি ভালোবাসবো তোমার সুগন্ধি। তোমার প্রতিটি মুহূর্ত কাটবে প্রথম মুহূর্তের পুনরাবির্ভাবের পুলকে। আমি বুঝে নিবো তোমার সব সুক্ষতা। আমি চিনে নিবো তোমার সব চাতুর্য। আমি বাস্তব করবো তোমার সব কল্পনা। মিটাবো তোমার সব উত্তেজনা। তোমার সব শীতলতা আমি উষ্ণ করে দিব 

 


 তোমার সব চিন্তা-ভাবনা- ইচ্ছা-কাজের আমি স্বীকৃতি দিবো। তোমার গোপন প্রকাশ্য সব রুচিতে আমি পাশে থাকবো। তোমায় ঘেরা প্রকৃতির সব অসমতায়, দুঃসংবাদে, সুসংবাদে ,শোকে, মৃত্যুতে,রোগে ব্যর্থতায়, বিচ্ছিন্নতায় আমি ছায়ার মতো থাকবো, তোমায় সঙ্গ দিবো সর্বদা।

তুমি আমার। কারন তুমি যদি আমার সে না হও, তবে কেন তোমাকে পেয়ে এতো ভালো লাগে। তবে কেন আমাদের হৃত্স্পন্দন একসাথে স্পন্দিত হয়। তুমি যদি আমার সে না হও, তবে কেন তোমার জন্য পুরো পৃথিবীর বিরুদ্ধে একা দাঁড়াতে দ্বিধা নেই আমার। আমি যদি তোমার জন্য না হই, তবে হৃদয় কেন বলে হ্যাঁ, আমি তোমার জন্য। আমার মস্তিস্কে কেন শুধু তুমি। কেন আমার স্বপ্নে শুধু তুমি। অদেখা ভবিষ্যৎ শুধু তুমি। আমার হৃদয় কেন অবিচল, সবসময়, তোমার পক্ষে।

আমি কখনো তোমার হাত ছুয়ে দেখিনি। কখনো একসাথে হাসিনি। কখনো একসাথে কাঁদিনি। একসাথে কখনো বৃষ্টিতে ভিজিনি।কখনো চুমু খাইনি তোমার ঠোঁটে। তবু তোমায় ভালোবাসি। কোনকিছু ছাড়াই ভালোবাসবো।মৃত্যু পর্যন্ত... মৃত্যুর পরেও...।

আমি তোমাকে ভালোবাসি স্বপ্না  তুমি ভালো থেকো..........

গোলাপের কাছে প্রেম নিবেদন - একটি প্রেম-পত্র

 


জানিনা কেন  তোমাকে এতোটা দেখতে মন চায়।
আর আমিইবা কেন প্রতিদিন তোমার স্কুলে আসা যাওয়ার সময় রুটিন মাফিক তোমাকে দেখে আমার সেই মনের চাওয়া পূরন করি!  জানিনা আমি কিচ্ছু জানিনা.....

জানিনা কেন বেশ কিছুদিন ধরে আমার বুকের-বা-পাসটায় তোমার জন্য হাহাকার করে! যেন মরুভূমি। শুধু তোমার অভাব অনুবভ হয়। 

 এখন প্রতিদিন আমার সব কিছুর ঊর্ধ্বে একটাই কাজ সেটা হল তোমার মুখ দেখে নিজের মনকে শান্ত কার।

 জানিনা কেন তোমাকে না দেখলে বুকের-বা-পাসটা এতোটা হতাসা কাজ করে।
 আর তাই ভালো থাকার জন্য তোমাকে কিছু বলতে না পারলেও তোমাকে দেখে দেখে ভালো থাকি।

তোমাকে  যদি সহয ভাবে বলতে যাই তাহলে বলবো
আমি তোমাকে খুব ভালো পাই.......
 তাই চেয়ে চেয়ে দিন গুলো কাটিয়ে যাই...
 
 

শুনেছি মন থেকে চাইলে আল্লাহকেও পাওয়া যায়।
তবে তোমাকে পাওয়া যাবে কিনা জানিনা!......
 তবে চাইছি তোমাকে খুব করে না পাওয়ার কথা এখনো আনমনেও ভাবিনি!  

হৃয়টা তোমাকে এতোটা চাইবে এটা আমি কখনোই বুঝে উঠতে পারিনি। একবারো বুঝতে পারিনি কখন তোমাকে এতোটা নিজের করে পেলেছি।

 তুমিতো জানোনা তোমাকে আমি প্রথম কোথায় দেখেছিলাম
এখন বলছি তুমি শুনো।

তারিখ-টা ছিল  ফ্রেবরুয়ারি মাসের ২৬ তারিখ  দুপুর ১:২৫ মিনিটের সময়। আমি তখন প্রতিদিনের মত আমাদের দোকানে বসে রাস্তার দিকে তাকিয়ে আছি তখন স্কুলে লেজার দেওয়া হয়েছিল। ছেলে মেয়েরা কেউ কেউ বাজারে এসেছে কিছু শুকনা খাবার কেনার জন্য।
 
প্রতিদিনের মত সেইদিনও আমি রাস্তার দিকে তাকিয়ে..... হাঠাৎ আমার চোখে পড়লো বাজারের দক্ষিণ পাশের একটি মেয়ের সাথে তুমি আমাদের দোকানের সামনে দিয়ে তাদের বাসায় যাচ্ছো।
 আমি তোমাকে মাত্র এক ফলক দেখতে না দেখতেই তুমি আমাদের দোকান ওভারটেক করে চলে গেছো।
 প্রথম এক ফলক দেখাতেই আমার তোমাকে বেশ ভালো লাগেছে কিন্তু আমি তোমাকে ভালো করে দেখতেও পারিনি।

আবার বসে বসে তোমার জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম  আর বসে বসে ভাবতেছি 

এইমেয়েটি কে? 
আগেতো কখনো দেখা হয় নি?
বাড়ি কোথায়?
 কোন দিক থেকে আসো?
 আমার চোখে তো আগে কখনো পরেনি কে এই মেয়ে?
 কি এইবা তার নাম?
তাছাড়া কোন ক্লাসেই বা পড়ে সে...?
তোমায় আবার দেখার অপেক্ষায় বসে বসে এসব ভাবতেছি.....
ভাবতে ভাবতে ১০ মিনিট পড়েই আবার তোমার দেখা এবার তোমাকে বেশ ভালো করে দেখেছি তুমি দেখতে খুবেই সুন্দর যেমন সুন্দর মানুষ আমার পছন্দ তার চেয়েও সুন্দর তুমি। 

""তোমার হাসিটা ভীষন সুন্দর আমি তোমার হাসিটাকে অন্য কারো সাথে তুলনা করতে চাইনা। আমি মনে করি আমার কাছে তোমার হাসিটা আমার দেখা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম হাসি""
 

 

তোমাকে দেখতে দেখতে তোমার পিছনে হাটা শুরু করলাম। কিছুক্ষন পিছু হাটার পর তুমি শম্ভুপুর মাধ্যমি বিদ্যালয়ের গেটের ভীতরে ঢুকে গেছো আর তোমাকে দেখা হল না।
তুমি হারিয়ে গেলে শত মেয়েদের ভিরে!... 

যদিও সেইদিন তোমার জন্য স্কুল ছুটির পরেও অপেক্ষা করেছি কিন্তু তোমাকে আর দেখা হলো না।
দেখা না হওয়ারও একটা কারন আছে আমি তোমার জন্য অপেক্ষা করেছিলাম  স্কুল ছুটির পর পর্যান্ত। 
স্কুল ছুটি হবার পর আমি দূর থেকে তাকিয়ে দেখছিলাম এক এক করে সকল ছাত্রছাত্রী বের হতে লাগলো।
আমি সবার মাঝে শুধু তোমাকেই খুজেছিলাম! ততক্ষনে স্কুলের সকল ছাত্রছাত্রী চলে গেছে। 
আমিও তোমাকে না দেখতে পেয়ে বিকাল ৪টার সময় বাসায় ফিরেছি সেদিন তোমাকে দেখার জন্য অপেক্ষা করার কারনে আমি দুপুরের খাবার খেয়েছি ৪:৩০ সময় আর এভাবেই শেষ হলো প্রথম দেখা।


যদিও মাসখানেক পরে জানতে পেরেছি তুমি ঘনেশ স্যারের কাছে স্কুল ছুটির পরেও আধা ঘন্টা প্রেইভেট পড়ো।
  
এখানেই কিন্তু শেষ নয়! 
পরের দিন আবার দুপুর ১:২০সে স্কুলে খাবার বিরতি দেওয়ার পরে সকল ছাত্রছাত্রী যে যার মত দুপুরের খাবার খাওয়ার জন্য যাওয়া শুরু করলো।
আর আমি তোমাকে একটি বার দেখার জন্য দোকানে বসে রাস্তার দিকে তাকিয়ে অপেক্ষা করে যাচ্ছি। 
আমি ভেবেছিলাম তুমি আজো বাজারের দক্ষিণ পাশের সেই মেয়েটির সাথে আসবে কিন্তু না তুমি আজ আর সেই মেয়েটির  সাথেও আসলেনা সেই মেয়েটি আজ অন্য একটি মেয়েকে নিয়ে যেতে দেখেছিলাম।
তোমাকে আর সেদিন দুপুরের খাবার বিরতিতে দেখতে পারলাম না কারন ২টা বাজে তোমাদের খাবার বিরতির সময় শেষ হয়ে গেছে। তাই সবাই আবার স্কুলে ঢুকে গেল। 
আমি কিন্তু তোমাকে দেখার আশা ছাড়িনি আমি ভাবলাম বাড়িতে গেলে আর ৫টার আগে বাড়ি থেকে আসা হবে না আর আসতে না পারলে আজ আমি তোমাকে দেখতেও পারবোনা।
 পরে দোকানে বসে বসে সিদ্ধান্ত নিলাম আজ স্কুল ছুটি দেওয়ার পরে আমি আমার মনের মানুষটি দেখে তার সুন্দর হাসিটা দেখে তারপরে বাড়ি যাবো।
এই সিদ্ধান্ত নিয়ে উপস অবস্থায় তোমার জন্য আরো ১:৪৫ মিনিট অপেক্ষা করলাম ৩:৪৫ মিনিটে এর সময় স্কুল ছুটির ঘন্টা বাজলো এক এক করে সব ছাত্রছাত্রী  চলে যাচ্ছে বাজারের দক্ষিণ পাশের সেই মেয়েটাও চলে যাচ্ছে।
কিন্তু তোমাকে দেখতে পেলাম না সবাই চলে গেল। আমিও তোমার দেখা না পেয়েই বাড়ি চলে গেলাম।
আর এভাবে পরের দিনও গেল।

 কিন্তু মনটা মানছে না মন শুধু তোমাকে দেখতে চায়।
 তোমাকে দেখার কথা ভাবা ছাড়া মন আর কিছু ভাবে না। 
তোমার সুন্দর মিষ্টি হাসিটা দেখা ছাড়া যে আমার কিছুই ভাল্লাগেনা।
 তোমার সম্পর্কে কিছুই জানিনা তবুও মন শুধু তোমাকে ভাবে কত কি এই না ভাবে!!!!  মনের ভাবার জেন শেষ নেই। 
তুমি রয়েছো  সারাক্ষণ আমার অনুভবে........







আর এভাবেই প্রতিদিন তোমার জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম ১ সাপ্তা তোমাকে দেখার জন্য অপেক্ষা করলাম কিন্তু তোমার দেখা পেলাম না।

ততদিনে খোজ খবর নিয়ে শুধু জানতে পারলাম তুমি অষ্টম শ্রেণীতে পড়ালেখা করো আর কিছুই জানতে পারিনি।
তুমি অষ্টম শ্রেণীতে পড়ো সেটা আমার বুঝে নিতে হয়েছে।,,,,,,

কারন তোমাকে আমি প্রথম যেই মেয়েটির সাথে দেখেছিলাম সেই মেয়েটি অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী আর আমি সেই হিসেবে বুঝেই নিয়েছি তুমিও অষ্টম শ্রেণীতেই পড়া লেখা করো। 



___________________________________________________♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥___________________________________________________♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥

তোমার সম্পর্কে আর কিছুই জানিনা এবং তোমাকে আর দেখতেও পারছিলাম না কিন্তু আমি তোমাকে বিভিন্ন ভাবে খুজে বেড়াচ্ছি
 স্কুল ছুটি হওয়ার পরে কখনো বাজারের পশ্চিম পাশের রোডে অপেক্ষা করি।
 কখনো পূর্ব পাশের রোডে অপেক্ষা করি। কখনো বাজারের উত্তর পাশে অপেক্ষা  করি।

কিন্তু কিছুতেই তোমার দেখা পাওয়া অথবা তোমার কোন ★দিকে বাড়ি?
★ তোমার বাবার নাম কি? 
★বাড়ির নাম কি?
 ★তোমার নাম কি?  
★জানা সম্ভাব হয়ে উঠছে না। 

 আর এভাবেই পর্বতিতে বেশ কিছুদিন তোমাকে খুজতে থাকলাম।
এছাড়াও জানতে চেষ্টা করেছি তোমার পরিচয়।
 মাসখানে খুজতে থাকার পর যখন তোমাকে আর পচ্ছিলাম না তখন এক সময় আমি ক্লান্ত হয়ে খোজা বন্ধ করে দিয়েছি।

 

বেশ কিছুদিন পরে হঠাৎ করে একদিন আমার দোকান বন্ধ করে দোকান থেকে বের হতে দেরি হলো।
 তখন সময় প্রায় ২:১০ হবে আমি দাসের হাটের সেই রোড দিয়ে বাড়ির উদ্যেশে রওনা দিয়ে রফিক স্যারের লাইব্রেরির সমনে পর্যান্ত আসার পরে দেখতে পারলাম তুমি একটি অটোর ভীতরে একা বসে আছো।
প্রথমে আমি তোমাকে দেখেই অবাক হয়েছি পরে মনে মনে খুব অনন্দ লাগতে শুরু করলো।

অনেক খুজে আমি যখন সেদিন তোমাকে দেখতে পাই তখন আমি খুবেই খুশি....... তার পর মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলাম আমি তোমার সাথে অটোতে করে তোমার বাড়ি চিনার জন্য যাবো। 

আর সুযোগ পেলে জিজ্ঞেস করবো 
★তোমার নাম 
★তোমার বাবার নাম 
★আর সেটা ভেবে আমি আস্তে আস্তে হেটে দাসের হাট নতুন ব্রীজের কাছে এসে বসে রইলাম।
কিছুক্ষণ পরেই তোমার অটো আসলো আমি সিঙ্গেল দিয়ে অটোতে উঠে বসলাম কিন্তু ততক্ষণে অটোতে তুমি আর আমি ছাড়া আরো ৭ জন তাই আর তোমাকে তোমার নাম ঠিকানা জিজ্ঞেস করা হলোনা।

 তবে তুমি আর আমি পিছনের সিটে বসেছি কিন্তু আমাদের দুইজনের মাঝে ছিল ________ ডাক্তারের ছোট ভাই _____ সে আমাকে জিঙেস করলো ইমন কই যাও আমি বললাম মুচিবাড়ির কোনায় যাচ্ছি,
 কথা বলতে বলতে ________ ভাইদের বাড়ির দরজায় আসার পর ______ ভাই অটো থামালেন আমি ভাবলাম ভালোই হলো এবার ______ ভাই নেমে গেলে আমি তোমাকে ঠিকানা জিজ্ঞেস করবো কিন্তু দুঃখের বিষয় হল।

তোমরা দুইজনেই গাড়ি থেকে নেমে ____ ভাইদের বাড়ির ভীতরে ডুকে গেলে।
 এই দেখেতো আমার ভীষন মন খারাপ হয়ে গেছে...... 
কারনটা হল আমি ভেবেই নিয়ে ছিলাম তুমি _____ ভাইদের বাড়ির হিন্দু কোন মেয়ে।

এই ভেবেতো আমার মন ভীষন খারাপ।
 তারপর মাইনার স্কুল গিয়ে গাড়ি থেকে নেমে আবার খাসের হাটের গাড়িতে উঠে বাড়ি আসলাম আর মনে মনে আপসোস করতে লাগলাম যা একটা মেয়ে পছন্দ হলো তাও আবার হিন্দু! আমার কপালটাই খারাপ.....!


 এরপর বেশ কিছু দিন আমার মনটা খুবেই খারাপ ছিল। 
তোমাকে যতই হিন্দু বাড়িতে ঢুকতে দেখিনা কেন!
 আমার কিন্তু কোন ভাবেই তোমাকে হিন্দু বলে মনে হয়নি।

বলতে গেলে এক পর্যায় আমার ভীতরে সন্দেহ ভর করলো!
সন্দেহের কারনটা হল বেশ কয়েক বছর দরে দেখতেছি নদী ভাঙ্গানের ফলে নদীর পাড়ের। মানুষ আমাদের এসব এলাকায় বিভিন্ন বাড়িতে যায়গা কিনে ঘর করে বসোবাস করে।
 তাই আমার সন্দেহ হলো যে তোমরাও হয়তো নদীর পাড় থেকে এসে ওইবাড়িতে ঘর করে থাকছো।
 তাই আমি একদিন বুদ্ধি করে ওষুধ কিনার ভান করে _____ভাইয়ের ফার্মিসিতে গেলাম গিয়ে তাকে
জিজ্ঞেস করলাম আচ্ছা ভাই আপনাদের বাড়িতেও মনে হয় মুসলমানেরা ঘর করে থাকছে

 ভাই বললো 

ভাই বলল হ্যা....
আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম দরজায় ইট দিয়ে যেই ঘর তৈরী হচ্ছে সেটা না কি বাড়ির ভীতরেও আরেকটা  ঘর আছে?
উত্তরে :- ভাই বললো হ্যাঁ বাড়ির ভীতরে একটা ঘর আছে
 আর দরজারটা তার ভাইয়ের

ততক্ষণে আমি বুঝতে পারলাম যে আমার ভাবনাটাই সঠিক।
আমি অনেকটা শিউর হয়ে গেলেম যে আমার পছন্দের মানুষটি হয়তো মুসলিম।
তখন আমার খুব আনন্দ হচ্ছিল এতো আনন্দ হচ্ছিল যে আমার নাচতে মন চাচ্ছে, আরো কত কি!... 
কিন্তু তার পরেও সন্দেও থেকেই যাচ্ছে... যদি তুমি মুসলিম না হও তখন?...
আবার চিন্তায় পরে গেলাম কি করে জানবো তুমি হিন্দু না মুসলিম।
চিন্তা করে অবশেষে একটি উপায় বের করেছি সেটা হলো অষ্টম শ্রেণীর যেকোন একজন ছাত্রকে দিয়ে তোমার নাম জানবো এবং নামটা জানলেই আমি বুঝতে পারবো তুমি হিন্দু নাকি মুসলমান?
 কিন্তু সমস্যাটা এক যায়গায় সেটা হলো অন্য একজনকে দেখাতে হলেতো আগে আমার তোমাকে দেখতে হবে কিন্তু আমিতো তোমাকে দেখতেই পাইনা!!!
অতএব আবার তোমাকে খুজতে শুরু করলাম।
 কিন্তু তোমাকে কোন ভাবেই পাচ্ছিনা.....  আমি প্রতিদিনেই স্কুল ছুটি পর্যান্ত তোমার অপেক্ষা করি কিন্তু তুমি তারো ১ ঘন্টা পরে বাড়ি যাও।

আর সেটা আমার জানতে অনেক দেরি  হয়ে গেছে আসছি সেই কথায়.......
আবারো কিছুদিন খুজে খোজ করা বাদ দিয়ে দিয়েছি কেননা তোমাকে কোন ভেবেই খুজে পাওয়া যাচ্ছিলোনা আর কি ভাবেই বা তোমাকে খুজে পাবো আমিতো তোমার সম্পর্কে কোন কিছুই জানিনা।
আর এভাবেই চলে গেল আরো এক সাপ্তা
মনটা খুবেই খারাপ মনের মানুষটিকে খুজে পাচ্ছিনা।
খুব মনে পরতেছে বলতে গেলে ভীষন  দেখতেও মন চাইছে।
 আর এভাবেই এক এক করে দিন চলে যাচ্ছে। হঠাৎ করে একদিন বৃহস্পতিবারে আমার দোকান বন্ধ করতে দেরি হল তখন সময় ২:১০ আমি কিন্তু তখনো দোকান বন্ধ করিনি এমন সময় তুমি এবং তোমার সাথে আরো একটা মেয়ে মিলে মোট দুইজন আমাদের দোকানে ঢুকলে।
 আমি তো তোমাকে দেখেই আনন্দিত হয়ে তাকিয়ে আছি কি সুন্দর তুমি!  তোমার সৌন্দর্য্যের কথা লেখার বাসায় লিখে বুঝানো যাবে না.....

 যাকে দেখার জন্য এতদিন অন্যে দোকানে বসে বসে অপেক্ষা  কারতাম যাকে দেখার জন্য দুপুরে ভাত ৪টার সময় খেতে যেতাম।
যাকে দেখার জন্য  মনটা সব সময় ব্যাকুল হয়ে থাকতো।
যাকে ভেবে ঘুম আসতো না।
যার কথা চিন্তা করে মনটা সব সময় খারাপ থাকতো।
যার কথা ভাবতেই আমি হারিয়ে যেতাম অজানায় ইত্যাদি... ইত্যাদি আরো কত কি!
আর সেই মানুষটা যখন নিজে আমার দোকানে এসে আমার কাছ থেকে কাপর কিনতে চাচ্ছে! আর আমি কাপর দেখাচ্ছি।
তখন সেটা স্বপ্নের মত হলেও আমার ভীষন আনন্দ পাচ্ছিল কিন্তক এতো আনন্দ আমি একটুও প্রকাশ করতে পারিনি।
কারন দোকানে আমি ছাড়াও কাকা ছিল তাই চাইলেই আমি তোমাকে পার্সনাল  কথা বলতে পারিনা।
কাকা বসে আছে আমি তোমাকে কাপর দেখাচ্ছি আর তোমার দিকে অল্প অল্প করে তাকাচ্ছি কিন্তু আমার ইচ্ছে করে  শুধু তোমাতে তাকিয়েই থাকি কিন্তু তা কোন ভাবেই সম্ভাব নয়।
ততক্ষনে কাপর অনেক গুলো নামিয়ে পেলেছি।
তুমি কিনবে হল গিয়ে ২ টি কামিজের কাপর ২গজ ৬গিরা করে.......

এখন তোমার পছন্দের পালা তুমি চেয়ে আছো কাপরের দিকে আমি চেয়ে আছি তোমার দিকে তবে তা লুকিয়ে এবং কম করে করে চাচ্ছিলাম।
অবশেষ তোমার কাপর পছন্দ হল।
এখন আমার কাপর কাটার পালা কিন্তু আমার তো তোমাকে দেখাও শেষ হয়নি কথাও জিজ্ঞেস কারা হয়নি!
এবার কাপর কাটার ভান দরে কথা জিজ্ঞেস করা শুরু কারলাম কাকাও পাশে বসা।
প্রথমে তোমার নাম কি আপু?
উত্তর : সামিয়া......
তারপর বললাম আচ্ছা তোমাদের বাড়ি নিমচাঁদ স্কুলের পিছনের বাড়ি পনাম ডাক্তারদের বাড়ি তাই না?
উত্তর : হ্যাঁ
ওতাহলে তোমরা তজুমদ্দিনের সেই দিক থেকে আসছো তাই না আপু?
উত্তর : হ্যাঁ 
আচ্ছা আপু তোমাদের আগের বাড়ির নাম কি?
উত্তর : মাহাজন বাড়ি 
আচ্ছা আপু তোমার বাবার নাম কি?
উত্তর : শাহেআলম  মাহাজন।
এখন কি তোমাদের তজুমদ্দিন দোকান আছে?  
উত্তর : আগে ছিল এখন নাই।
তোমরা ভাই বোন কয়জন
উত্তরে : ভাইয়া ঢাকা মাস্টার্সে পড়ে।
বাড়ির দরজায় পাকা করে যেই ঘরটা করা হচ্ছে সেটা কি তোমাদের?
উত্তরে : না আমার কাকার।
আরো কিছু কথা হয়েছিলো তবে আমার মনে নেই।
অবশেষে আমার কাপর কাটা হলো কাপরে দাম হিসেব করলাম তুমি টাকা নিছে প্লোরে রেখে কি জেন করতে ছিলে আমি বললাম আপু আগে টাকাটা হাতে নেও।
পরে তুমি টাকাটা হাতে নিয়ে আমাকে দিয়ে চলে গেলে।
আর এরপর থেকে আমার তোমার চিন্তায় ঘুম হারাম!!!! তোমাকে নিয়ে কত কিছু চিন্তা করেছি!!! তা বলতে সময়ে দরকার আছে সে অনেক কথা......
সামনে আরো অনেক কথা বাকি আছে।....
তোমার প্রেমে পরে গেছি এখন একটাই ভাবনা কখন কি ভাবে তোমাকে ভালোবাসার কথা জানাবো। আর সেটা নিয়ে আরো অনেক কথা আছে..... 
 

 

এর পর প্রায় প্রতিদিন রুটিন মাফিক তোমার স্কুল ছুটি হবার পর তোমার জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম।
কখনো দেখা হতো কখনো আবার দেখা হতো না সপ্তাহে ২/৩ বার দেখতাম...... তোমাকে নিয়ে ভাবনাটা বেশ বেড়ে গিয়েছে দেখতে দেখতে তোমার প্রতি গভীর প্রেম জেগেছে আমার।
না - তোমাকে বলতে পারি, না- নিজেকে সামলাতে পারি!
দিনে দিনে তোমার প্রতি আমার ভালোবাসা বেরেই যাচ্ছা........


অবশেষে সিদ্ধান্ত নিলাম যেভাবেই হোক তোমাকে ভালোবাসার কথা জানাবো কিন্তু চিন্তার বিষয় হলো জানানোটা তো কোন ব্যাপার নয়।
জানানোর পরে তুমি যদি না বলে দাও তখন?
 তুমি যদি বল যে আমি ভালোবাসবো না আপনাকে তখন?
 তুমি যদি স্যারদের কাছে বিচার দাও? তুমি যদি আমার পরিবারের কাছে বিচার দাও?
তখন আমার কি হবে?
এসব প্রশ্ন গুলো নিজে নিজেকে করতেছি আর মনকে বুঝানোর চেষ্টা করছি।

প্রতিদিনেই তোমার সাথে দেখা হয় আর এসব কিছু চিন্তা করি..... আর তোমাকে জানোই হয় না আমি তোমাকে কতটা ভালোবাসি।
যদি তুমি প্রস্তাবটি গ্রহণ করে ফেলো তাহলে তো কোনো সমস্যা নেই! 
আর যদি গ্রহণ না করো তাহলে অনেক সমস্যা..... হতে পারে। 
আর এই সমস্যায় পড়ে প্রথমত আমার যেই ক্ষতি হবে সেটা হল আত্মমর্যাদা মান সম্মান সব নষ্ট হয়ে যাবে।
একবার চিন্তা করি মেয়েটা হয়তো এরকম করবে না! আবার মনে হয় যদি করে বসে? সামিয়া যদি আমার হৃদয়ের কথাগুলো না বুঝতে চায় তখন?

তার দিক থেকে তো নালিশ/বলে দেওয়াটা ভালো এবং সঠিক হবে।
 তাকে কেউ ডিস্টার্ব করলে নালিশ দেওয়াটাই স্বাভাবিক।
 তারপর নিজের কাছে প্রশ্ন করলাম তোমার জায়গায় আমি থাকলে কি করতাম?
 উত্তর : আমিও ঠিক তোমার কাজটাই করতাম
 
এখন ভাবার বিষয় হল তুমি বিচার দিলে আমার কি কি ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।
প্রথমত আমার সারা জীবনের সঞ্চয় করা মূল্যবান সম্পদ সম্মানটুকু চলে যাবে।

যারা আমাকে ভালো ছেলে হিসেবে জানতো তার আমাকে খারাপ ছেলে হিসাবে জানবে  যেমন :- ভাই বন্ধু পাড়া-প্রতিবেশী, চাচা, কাকা, মামা, দাদা, সবাই।

কিন্তু আমি তো প্রেমে পড়ে গেছি এখন কি করব?
একবার ভাবি বলতেই হবে আমি তোমাকে ভালোবাসি আবার ভাবি না বলবো না,,,

 কিন্তু মন যে মানছে না! মন বলছে যে কোন একটা উপায় বের করো! এবং বলে ফেলো!..

 :- তাহলে উপায়টা কি? এবার আসি সেই কথায়।

আমি যেই সিস্টেমে তোমাকে ভালোবাসার কথাটি জানাতে হবে।
সেই সিস্টেমটি নিশ্চয়ই এমন হতে হবে যে আমার মনের কথাটি তুমি ছাড়া আর অন্য কেউ জানতে পারবে না। 

এমন ভাবে তোমার নিকট ভালোবাসা প্রকাশ করতে হবে যাতে করে তুমি ডিস্টার্ব অনুভব  না করো  এবং সকল কিছু স্বাভাবিক ভাবে এবং স্বাধীনভাবে চালাতে পারো।

আমি চিন্তা করলাম তুমি এখন ক্লাস এইটে পড়ো....
এখন যদি আমি তোমাকে কোন প্রকার ডিস্টার্ব মূলক আচরণ করি আর সেটা যদি প্রকাশ হয়ে যায়?
তাহলে তোমার আসা যাওয়া পড়ালেখার সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে!
 এবং তোমার স্বাধীনতা নষ্ট হয়ে যাবে তুমি আসতে যেতে বাধাগ্রস্ত হবে। তোমার সাথে গাইড লাইন দেওয়া হবে যা অত্যন্ত বিরক্তিকর।
কারন তোমার পরিবার মনে মনে ভাববে আমি তোমাকে ডিস্টার্ব করবো তার জন্যই এসব সমস্যায় পরতে হবে তোমার।
 আর আমি তা চাইনা যে তুমি আমার দিক থেকে ডিস্টার্ব অনুভব করো।
 আমি চাই তুমি পড়ালেখা করো ঠিক মত আর তাই তোমাকে আমি প্রতিদিন দেখা থেকে সরে এসেছি তোমাকে ডিস্টার্ব করা থেকে সরে এসেছি চাইনা তোমার এই অষ্টম শ্রেণির মূল্যবান পড়া লেখা গুলো নষ্ট  হোক।
 আমি চাই তুমি পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করো।
আমি চাই তুমি পড়ো মন দিয়ে পড়ো আমার ভালোবাসাটা তোমার পড়ালেখার ডিস্টার্ব হয় যেন না হয়ে দাঁড়ায়।
 ভালোবাসাটা থাকুক শুধু আমার কাছে ...  তোমার উপরে যেন তার কোন প্রভাব না পরে।

তাই সিদ্ধান্ত নিলাম তুমি ডিস্টার্ব মনে করো এমন কিছুই আমি করবোনা।
এখন কথা হলো তাহলে কিভাবে ভালবাসা প্রকাশ করব তোমাকে আমি খুব ভালোবেসে ফেলেছি।
না বলেতো থাকতেও পারবোনা। 
অবশেষে আমি ভাবলাম যেভাবেই হোক ভালো একটি উপায় বের করে সামিয়াকে আমার ভালোবাসার কথাটি জানাবো আর সেটা নিশ্চয়ই ডিস্টার্ব বিহীন উপায়ে হতে হবে।
 প্রথমত আমার কথা হলো আমি যদি তোমার জন্য এত কিছু ভাবতে পারি!
 আমি যদি তোমার  ডিস্টার্ব হবে মনে করে তোমার পিছনে ঘুরা বন্ধ করে দিতে পারি।

তাহলে তুমি  কেন আমার নামে নালিশ দেবে কেন আমার সম্মানটুকু নষ্ট করে দিবে।
যেই সম্মানটুকু আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ সম্পদ আমার এরচেয়ে বেশি কিছু নেই। আর এই সম্মানটুকু যদি নষ্ট করে দেও তাহলে বেঁচে থাকাটাই আমার জন্য  অনর্থক হবে।

 বিশেষ করে পড়ালেখাটা কন্টিনিউ করে যেতে পারবে আমার এই প্রস্তাব দেওয়ার কারণে কোন প্রকার সমস্যা হবে না আর সেই উপায় টি হল চিঠির মাধ্যমে প্রেমের প্রস্তাব নিবেদন করা আর সেটাই আমি আজকে করলাম।
 আর এই উপায়টি সত্যিই অনেক সুন্দর উপায় তুমি শুধু খারাপ ভাবে না নিলেই হল.......

তুমি চিঠিটা পাওয়ার পরে শুধু কোন স্যারকে এবং তোমার পরিবারকে না দিলেই হলো ভালো-না-বাসলে সহয ভাবে বলে দিবে যে আমি আপনাকে ভালোবাসিনা!...
আমি মেনে যাবো অন্য কোথাও আর তোমার নালিশ দেওয়া লাগবেনা।
তবে তোমার কাছে আমার একটি রিকোয়েস্ট সেটা হলো তুমি আমাকে ভালোবাসবে কি ভালোবাসবেনা সেটা জানেতে সময় নিয়ে ভেবে চিন্তে জানাবে কারন আমি তারাহুরো পছন্দ করিনা।

আমি চাইবো তুমি ভেবে চিন্তে বলো সেটা ৬ মাস কিংবা ১ বছর পরে হয় তাতেও আমার কোন  সমস্যা নাই।  
সত্যি কথা বলতে আমি তোমাকে ভীষন ভালোবেসে পেলেছি।
বিশেষ করে তোমার মিষ্টি মধুর হাসিটা মিস করবো। তোমার হাসি খুশি মুখটা সব সময় মনে পরবে। হয়তো তুমি আমার লেখা গুলো পড়ে এতোক্ষণে বুঝতে পেরেছো আমি তোমাকে কথটা ভালোবাসি......
কতটা অনুভব করেছি বলে এতো গুলো লেখা......আমার পক্ষে  লেখা সম্ভব হয়েছে.....
 

 তুমি যদি স্যারদের কাছে বিচার দাও সত্যি আমার সম্মান নষ্ট হয়ে যাবে।
তোমার কাছে অনুরোধ থাকবে চিঠিটা তুমি আর আমি ছাড়া আর অন্য কেউ না জানে.......
চিঠিটি দেওয়ার জন্য প্রথমে আমি আমার একজন বিশ্বাসযোগ্য মানুষ ম্যানেজ করেছি যাকে দিয়ে তোমার কাছে এ লেখা গুলো পাঠানো যায় এবং তাকে দিয়ে তোমাকে আগে জিজ্ঞেস করে নিয়েছি যে আর তুমি পড়তে ইচ্ছে করেছো বলেই আজ তুমি তোমার জন্য লেখা আমার এই চিঠি পড়তে পরতেছো। 
আমি আশাবাদি যে তুমি আমাকে ভালোবাসবে।
আর এই সুন্দর আশাটা নেয়েই আমি তোমার জন্য অপেক্ষা করে যাচ্ছি।

এতোক্ষণ তো তোমার কথা লিখেছি আমাকে নিয়েও সত্য কিছু  লেখা লেখতে চাই....
 আমি এবার ইন্টার ফাইনাল পরিক্ষা দিয়েছি.... ধলীগৌরনগর ডিগ্রী কলেজ থেকে......
এবং পড়ালেখার পাশাপাশি আমার কাকার দোকান সময় দিয়ে  থাকি এবং দীর্ঘদিন দোকানে সময় দেওয়া ফলে আমি  কাটিং মাষ্টারি শিখি এবং দোকান পরিচালনা করা শিখি।
এবং কাকার অবর্তমানে দোকান পরিচালোনা করা এবং কাটিং মাষ্টারি করা দোকানে কাপর বিক্রি করা।
এছাড়া  সামনে আরো পড়ালেখাও করার ইচ্ছে আছে। 
আমি ব্যক্তিগত ভাবে একজন দায়িত্বশীল মানুষ। বাবা- মায়ের প্রতি আমার প্রচন্ড শ্রদ্ধা ভালোবাসা রয়েছে।

তোমার প্রতি আমার ভালোবাসাটা শ্রদ্ধার, সম্মানের, বিশ্বাসের, এবং শুদ্ধতম ভালোবাসা।
 যার মাঝে কোন রকম ঘাটতি নেই।
 তোমার প্রতি আমার যে ভালোবাসাটা জন্মেছে সেটি আমার হৃদয়ের গভীর স্থানে জায়গা করে নিয়েছে।
প্রচন্ড ভালোবেসে ফেলেছি তোমাকে যা কখনো ভুলবার নয়।

জানিনা তুমি আমার এই চিঠি পাবার পর কাউকে দিয়ে দিবে কিনা এবং আমার সম্মানটুকু নষ্ট করে ফেলবে কিনা।
 তবে আমি ১০০ ভাগ আশাবাদী যে তুমি ভালো না বাসলেও এই চিঠির কথা কাউকে জানাবে না।
জানালে কিন্তু আমার খুব ক্ষতি হয়ে যাবে।
 অনুরোধ করব এই ব্যাপারটা মাথায় রাখার জন্য।
আর শুনো ভালো-না-বাসার জন্য হাজারটা কারণ থাকতে পারো! 
কিন্তু তুমি আমাকে ভালোবাসার জন্য একটা কারনেই যতেষ্ট। 

 আমি তোমাকে ভালোবাসি এটা নতুন করে বলার কিছু নেই।
আমি জানি তুমি অনুভব করতে পারো।

 আমার লেখা গুলো এতক্ষণ পড়ার পরে তুমি নিশ্চয় অনুভব করতে পেরেছো আমি তোমাকে কতটা ভালোবাসি?

সর্বশেষ একটি কথাই বলতে চাই তোমাকে আমি সম্মান করি সাথে তোমার পরিবারকেও এবং তোমার পরিবারের সুস্বাস্থ্য এবং তোমার সুন্দর ভবিষ্যৎ কামনা করছি 
আশা করি তোমাকে চিঠি দেওয়ার অপরাধে এবং তোমার প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করার অপরাধে আমাকে কোন প্রকার সম্মানহানি করবে না।
আমার প্রস্তাব প্রত্যাখান করলে আমাকে জানালেই হবে আমি তোমার পথ থেকে সরে দাঁড়াবো এবং তোমার কোন প্রকার ক্ষতি হতে দিব না।
এটা আমার ওয়াদা। 
আমার যেমন পছন্দ আছে আমি মনে করি তোমার ও একটি ব্যক্তিগত পছন্দ রয়েছে......পছন্দের বাহিরে গিয়ে কিছু করার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না
ভালো থেকো  সুস্থ থেকো তোমার এবং তোমার পরিবারের প্রতি ভালবাসাটা অটুট থাকবে।

ভালোবাসা গোলাপকে ছুঁয়ে দিতে পারেনি কারন মাঝে ছিল লৌহার জানালা।